ভিটামিন ডি সংক্রান্ত নতুন নির্দেশিকা সম্পর্কে বিস্তারিত
ভিটামিন ডি সংক্রান্ত নতুন নির্দেশিকা সম্পর্কে বিস্তারিত
- ভিটামিন
ডি কী এবং এর
প্রয়োজনীয়তা।
- ভিটামিন ডি এর অভাবের সমস্যা ও এর সম্ভাব্য স্বাস্থ্যঝুঁকি।
ভিটামিন
ডি এর উৎস
- প্রাকৃতিক
উৎস (সূর্যের আলো, খাবার)।
- সম্পূরক
(সাপ্লিমেন্ট) উৎস।
- বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে ভিটামিন ডি এর উপস্থিতি।
নতুন
নির্দেশিকা
- ভিটামিন
ডি এর দৈনিক প্রয়োজনীয়তা
নিয়ে বর্তমান নির্দেশিকা।
ভিটামিন ডি এর দৈনিক প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বর্তমান নির্দেশিকা
ভিটামিন ডি এর দৈনিক প্রয়োজনীয়তা ব্যক্তি বিশেষে ভিন্ন হতে পারে, যা বয়স, লিঙ্গ, শারীরিক অবস্থা এবং ভৌগোলিক অবস্থানের উপর নির্ভর করে। সম্প্রতি, বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংস্থা এবং পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা ভিটামিন ডি এর দৈনিক গ্রহণের পরিমাণ সম্পর্কে নতুন নির্দেশিকা জারি করেছেন। এই নির্দেশনাগুলো আমাদের শরীরের হাড়, দাঁত এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
বয়স
অনুসারে ভিটামিন ডি এর দৈনিক
প্রয়োজনীয়তা:
নিচে বিভিন্ন বয়সের ভিত্তিতে দৈনিক প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি এর পরিমাণ দেওয়া হলো:
1. **শিশু
(০-১২ মাস)**:
- প্রয়োজনীয়তা: ৪০০ আই.ইউ (International Units) বা ১০ মাইক্রোগ্রাম।
2. **শিশু
(১-১৩ বছর)**:
- প্রয়োজনীয়তা: ৬০০ আই.ইউ বা ১৫ মাইক্রোগ্রাম।
3. **কিশোর-কিশোরী (১৪-১৮ বছর)**:
- প্রয়োজনীয়তা: ৬০০ আই.ইউ বা ১৫ মাইক্রোগ্রাম।
4. **প্রাপ্তবয়স্ক
(১৯-৭০ বছর)**:
- প্রয়োজনীয়তা: ৬০০ আই.ইউ বা ১৫ মাইক্রোগ্রাম।
5. **বয়স্ক
(৭১ বছর এবং এর
বেশি)**:
- প্রয়োজনীয়তা: ৮০০ আই.ইউ বা ২০ মাইক্রোগ্রাম।
6. **গর্ভবতী
এবং স্তন্যদানকারী মায়েরা**:
- প্রয়োজনীয়তা: ৬০০ আই.ইউ বা ১৫ মাইক্রোগ্রাম।
নির্দেশিকার ভিত্তিতে ভিটামিন ডি এর চাহিদা
ভিটামিন ডি এর চাহিদা নির্ধারণ করা হয় বিভিন্ন নির্দেশিকার মাধ্যমে, যা আমাদের স্বাস্থ্যের বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে নির্ধারণ করা হয়। এই চাহিদা নির্ধারণে আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় উভয় নির্দেশনাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন ডি এর চাহিদা বুঝতে হলে আমাদের বয়স, জীবনধারা, ভৌগোলিক অবস্থান, এবং শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে নির্দেশনাগুলি মেনে চলা উচিত।
### ১.
আন্তর্জাতিক নির্দেশিকা:
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO), ইনস্টিটিউট অব মেডিসিন (IOM) এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থাগুলো ভিটামিন ডি এর দৈনিক প্রয়োজনীয়তার জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশিকা জারি করে। সাধারণত, ভিটামিন ডি এর চাহিদা নিম্নরূপ:
- **শিশু
ও কিশোর-কিশোরী**: ৪০০-৬০০ আই.ইউ (International Units) প্রতিদিন।
- **প্রাপ্তবয়স্ক
ও গর্ভবতী নারী**: ৬০০ আই.ইউ
প্রতিদিন।
- **বয়স্ক (৭১ বছর এবং এর বেশি)**: ৮০০ আই.ইউ প্রতিদিন।
### ২.
স্থানীয় নির্দেশিকা:
বিভিন্ন দেশের স্থানীয় স্বাস্থ্য সংস্থাগুলো স্থানীয় জনগণের জীবনধারা, খাদ্যাভ্যাস, এবং পরিবেশগত অবস্থার ভিত্তিতে ভিটামিন ডি এর চাহিদা নির্ধারণ করে। যেমন:
- **উত্তর
ইউরোপ**: যেখানে সূর্যালোক কম পাওয়া যায়,
সেখানে বেশি ডোজের ভিটামিন
ডি সুপারিশ করা হয়।
- **দক্ষিণ এশিয়া**: বিশেষ করে যেখানে সূর্যের আলো বেশি সময় ধরে পাওয়া যায়, সেখানে প্রাকৃতিক উপায়ে ভিটামিন ডি প্রাপ্তি সহজতর হয় এবং অতিরিক্ত সাপ্লিমেন্টের প্রয়োজন কম হয়।
### ৩.
বয়স এবং শারীরিক অবস্থা
অনুযায়ী চাহিদা:
বয়স, শারীরিক অবস্থা, এবং বিশেষ পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে ভিটামিন ডি এর চাহিদা ভিন্ন হতে পারে। যেমন:
- **শিশু
এবং কিশোর-কিশোরী**: শিশুদের হাড় এবং দাঁতের
সঠিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে ভিটামিন ডি
এর প্রয়োজনীয়তা বেশি।
- **প্রাপ্তবয়স্ক
ও বয়স্ক ব্যক্তি**: প্রাপ্তবয়স্ক এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের
হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে এবং
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত রাখতে ভিটামিন ডি প্রয়োজন হয়।
- **গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মা**: গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানের সময় ভিটামিন ডি এর চাহিদা বৃদ্ধি পায়, কারণ এটি নবজাতকের হাড়ের গঠন এবং মায়ের হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
৪. বিশেষ গোষ্ঠীর
জন্য ভিটামিন ডি এর চাহিদা:
- **গৃহবন্দী
এবং সূর্যালোকের কম সংস্পর্শে থাকা
ব্যক্তিরা**: যারা বেশিরভাগ সময়
ঘরের ভেতরে থাকেন, তাদের জন্য সাপ্লিমেন্টের মাধ্যমে
ভিটামিন ডি গ্রহণের প্রয়োজন
হতে পারে।
- **অ্যাথলেট এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় ব্যক্তি**: যারা নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ করেন, তাদের জন্য ভিটামিন ডি এর চাহিদা বেশি হতে পারে, কারণ এটি পেশী শক্তি এবং পুনরুদ্ধারে সহায়ক
৫. নির্দেশিকার প্রভাব:
- **পরিকল্পিত
খাদ্যাভ্যাস**: নির্দেশিকা মেনে চলার ফলে
আমরা আমাদের দৈনিক খাদ্যাভ্যাসে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি যুক্ত করতে
পারি।
- **স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি**: নির্দেশিকাগুলো মেনে চলা আমাদের শরীরের জন্য সঠিক পরিমাণে ভিটামিন ডি প্রাপ্তি নিশ্চিত করে, যা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে
- **আন্তর্জাতিক
নির্দেশিকা**: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক
পুষ্টি সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, উপরের মাত্রাগুলো সর্বজনীনভাবে গ্রহণযোগ্য।
- **স্থানীয় নির্দেশিকা**: বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য সংস্থা স্থানীয় জনগণের জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাসের ভিত্তিতে কিছুটা ভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করতে পারে।
বিশেষ পরিস্থিতি:
1. **গর্ভাবস্থা
ও স্তন্যদান**:
- গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানের সময়
মহিলাদের জন্য ভিটামিন ডি
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি নবজাতকের
হাড়ের গঠন এবং মায়ের
হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
- অনেক চিকিৎসক এই সময়ে আরও বেশি পরিমাণে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের পরামর্শ দিতে পারেন।
2. **বয়স্কদের
জন্য**:
- বয়স্কদের হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে এবং অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধ করতে উচ্চতর ডোজের ভিটামিন ডি প্রয়োজন হতে পারে।
3. **অ্যাথলেট
এবং সক্রিয় ব্যক্তিরা**:
- যারা নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ করেন বা অ্যাথলেট হিসেবে প্রশিক্ষণ নেন, তাদের জন্য ভিটামিন ডি এর চাহিদা বেশি হতে পারে, কারণ এটি পেশী শক্তি এবং পুনরুদ্ধারে সহায়ক।
অতিরিক্ত ভিটামিন ডি গ্রহণের সতর্কতা:
- **উচ্চ
ডোজের ঝুঁকি**: ভিটামিন ডি এর অতিরিক্ত
গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে
হবে, কারণ এটি ক্যালসিয়াম
শোষণকে অতিরিক্ত বাড়িয়ে দিতে পারে এবং
কিডনিতে পাথর, উচ্চ রক্তচাপ বা
অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।
- **ডাক্তারের
পরামর্শ**: প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী সঠিক ডোজের জন্য
ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
- বিভিন্ন
বয়সের মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ।
- ভিটামিন ডি এর সাপ্লিমেন্টের সঠিক ব্যবহার ও ডোজ।
স্বাস্থ্যগত উপকারিতা
- হাড়
ও দাঁতের স্বাস্থ্য।
- রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা।
- হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
ভিটামিন ডি এর অভাবের
লক্ষণ
- শারীরিক
লক্ষণ এবং অন্যান্য সমস্যার
বর্ণনা।
- শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য ভিটামিন ডি এর অভাবের প্রভাব।
গর্ভাবস্থা ও শিশুদের জন্য
গুরুত্ব
- গর্ভবতী
মায়েদের জন্য ভিটামিন ডি
এর বিশেষ প্রয়োজনীয়তা।
- শিশুদের হাড়ের বৃদ্ধিতে ভিটামিন ডি এর ভূমিকা।
ভিটামিন ডি এর চাহিদা
পূরণে করণীয়
ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণে করণীয় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার সময় নিচের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে:
১. সূর্যের আলো
থেকে প্রাপ্তি:
সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন
ডি প্রাপ্তি
সূর্যালোকের ভূমিকা
সূর্যালোকের
প্রভাবে আমাদের ত্বক ৭-ডিহাইড্রোকোলেস্টেরল
নামক উপাদান থেকে ভিটামিন ডি
উৎপন্ন করে। সূর্যের অতিবেগুনী-বি (UVB) রশ্মি ত্বকে পৌঁছালে এটি ভিটামিন ডি
উৎপাদনের প্রক্রিয়া শুরু করে। এই
ভিটামিন ডি শরীরে পরিপাক
হয়ে ক্যালসিট্রিয়ল নামে সক্রিয় হরমোনে
রূপান্তরিত হয়, যা ক্যালসিয়াম
শোষণ এবং হাড়ের স্বাস্থ্য
বজায় রাখতে সাহায্য করে।
প্রয়োজনীয় সময়কাল
- **প্রতিদিনের
সময়কাল**: প্রতিদিন ১০ থেকে ৩০
মিনিটের জন্য সূর্যালোকের সংস্পর্শে
থাকা প্রয়োজন। তবে, সময়ের পরিমাণ
নির্ভর করে ত্বকের রঙ,
ঋতু, ভৌগোলিক অবস্থান, এবং দিনভর সূর্যালোকের
পরিমাণের উপর।
- **গ্রীষ্ম
এবং শীতকালে**: গ্রীষ্মকালে কম সময়ের সূর্যালোকই
যথেষ্ট হতে পারে, তবে
শীতকালে দীর্ঘ সময়ের সূর্যালোক প্রয়োজন হতে পারে।
- **উত্তরের
দেশগুলিতে**: যেখানে শীতকালে সূর্যের আলো কম থাকে,
সেখানে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি
পূরণের জন্য অতিরিক্ত সাপ্লিমেন্ট
প্রয়োজন হতে পারে।
ত্বকের রঙ এবং ভৌগোলিক
অবস্থান
- **ত্বকের
রঙ**: গাঢ় ত্বকের মানুষেরা
হালকা ত্বকের মানুষের তুলনায় কম UVB শোষণ করে, তাই
তাদের আরও বেশি সময়
সূর্যালোকের সংস্পর্শে থাকতে হয়।
- **ভৌগোলিক অবস্থান**: যেসব অঞ্চলে সূর্যালোক কম পাওয়া যায়, সেসব অঞ্চলের মানুষেরা ভিটামিন ডি এর ঘাটতিতে ভুগতে পারেন।
স্বাস্থ্যবিধি এবং সুরক্ষা
- **সানস্ক্রিন
ব্যবহার**: সানস্ক্রিন ব্যবহারের ফলে UVB রশ্মি ত্বকে পৌঁছাতে পারে না, তাই
ভিটামিন ডি উৎপাদনে সমস্যা
হতে পারে। তবে, প্রয়োজনীয় ভিটামিন
ডি পাওয়ার পর সানস্ক্রিন ব্যবহার
করা জরুরি, কারণ অতিরিক্ত সূর্যালোক
ত্বকের ক্ষতি করতে পারে এবং
ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- **সময়কাল নির্বাচন**: দিনের যে সময়ে সূর্যালোক সবচেয়ে প্রখর থাকে, যেমন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে, সেই সময় সূর্যালোক গ্রহণ করা উচিত। তবে, এই সময়ে অতিরিক্ত সূর্যস্নান না করে মাঝারি পরিমাণে সূর্যালোক গ্রহণ করা ভালো।
বিশেষ পরিস্থিতি
- **গৃহবন্দী
এবং কর্মক্ষেত্রে অধিক সময় কাটানো
ব্যক্তিরা**: যারা বেশিরভাগ সময়
ঘরের ভেতরে থাকেন বা কর্মক্ষেত্রে বেশিরভাগ
সময় কাটান, তাদের জন্য সূর্যালোকের সংস্পর্শে
আসা কঠিন হতে পারে।
এ ক্ষেত্রে, তাদের জন্য সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ
করা জরুরি।
- **পর্দা করা মহিলারা**: যারা পর্দা করেন, তাদের জন্য সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসা কঠিন হতে পারে। তাই, তাদেরও সাপ্লিমেন্ট নেওয়া উচিত।
- **প্রাকৃতিক
উৎস**: ভিটামিন ডি এর প্রধান
উৎস হলো সূর্যের আলো।
ত্বকে সূর্যালোক পড়লে আমাদের শরীর ভিটামিন ডি
তৈরি করে।
- **কতক্ষণ
সময় নিয়ে থাকুন**: প্রতিদিন
কমপক্ষে ১০ থেকে ৩০
মিনিট সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসা উচিত, বিশেষ
করে সকাল ১০টা থেকে
বিকেল ৩টার মধ্যে। তবে,
এই সময়ের পরিমাণ নির্ভর করে আপনার ত্বকের
রঙ, আবহাওয়া এবং ভৌগোলিক অবস্থানের
উপর।
- **সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্যবিধি**: অত্যধিক সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই, প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি পাওয়ার পর সানস্ক্রিন ব্যবহার করা জরুরি।
২. সঠিক খাদ্যাভ্যাস:
- **প্রাকৃতিক
খাদ্য উৎস**:
- মাছ: চর্বিযুক্ত মাছ
যেমন স্যামন, টুনা, ম্যাকরেল, সার্ডিন এবং হেরিং ভিটামিন
ডি এর সমৃদ্ধ উৎস।
- ডিমের কুসুম: ডিমের কুসুমে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
- মাশরুম: কিছু ধরনের মাশরুম,
যেমন মাইতাকে ও শিটাকে মাশরুম,
সূর্যালোকের সংস্পর্শে এলে ভিটামিন ডি
উৎপন্ন করে।
- **ফর্টিফায়েড
খাদ্য**:
- দুধ ও দুগ্ধজাত
পণ্য: অনেক ধরনের দুধ,
দই এবং চিজে ভিটামিন
ডি যুক্ত করা হয়ে থাকে।
- ফর্টিফায়েড সিরিয়াল এবং ওটমিল: প্রাতঃরাশের
জন্য ব্যবহৃত অনেক সিরিয়াল এবং
ওটমিলে ভিটামিন ডি যুক্ত করা
থাকে।
- সয়ামিল্ক এবং অরেঞ্জ জুস: ফর্টিফায়েড সয়ামিল্ক এবং অরেঞ্জ জুসেও ভিটামিন ডি থাকে।
৩. সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ:
- **সঠিক
ডোজ**: কিছু ক্ষেত্রে খাদ্য
এবং সূর্যালোক থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ
ভিটামিন ডি পাওয়া সম্ভব
না হলে, ডাক্তারের পরামর্শে
সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যেতে পারে।
- **প্রয়োজনীয়তা**:
বিশেষ করে গৃহবন্দী, পর্দা
করা মহিলারা, বা যারা সূর্যালোকের
সংস্পর্শে আসার সুযোগ পান
না, তাদের জন্য সাপ্লিমেন্ট অত্যন্ত
জরুরি।
- **বিধি মেনে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ**: সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক ডোজ গ্রহণ করা উচিত। অতিরিক্ত সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
৪. লাইফস্টাইলের পরিবর্তন:
- **প্রাকৃতিক
পরিবেশে সময় কাটানো**: সাপ্তাহিক
বা মাসিক ভিত্তিতে প্রকৃতির কাছাকাছি ভ্রমণ করা বা আউটডোর
এক্টিভিটিস করা যেতে পারে,
যা সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসার সুযোগ বাড়ায়।
- **নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা**: ভিটামিন ডি এর পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করতে নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত এবং এর ঘাটতি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত।
৫. সমাজের বিভিন্ন
গোষ্ঠীর জন্য করণীয়:
- **গর্ভবতী
মায়েদের জন্য**: গর্ভাবস্থায় ভিটামিন ডি এর বিশেষ
চাহিদা থাকে, তাই এই সময়ে
যথাযথ ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাদ্য
ও সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত।
- **শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য**: শিশুদের হাড়ের সঠিক বিকাশের জন্য এবং বয়স্কদের হাড়ের শক্তি বজায় রাখতে ভিটামিন ডি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৬. চিকিৎসকের পরামর্শ:
- **ব্যক্তিগত পরামর্শ**: প্রতিটি ব্যক্তির জন্য ভিটামিন ডি এর প্রয়োজনীয়তা ভিন্ন হতে পারে। তাই, বিশেষ পরিস্থিতিতে বা স্বাস্থ্যের অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।
এই নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করে, ভিটামিন ডি
এর চাহিদা পূরণ করা সম্ভব
এবং এটি স্বাস্থ্যের জন্য
এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
- সঠিক
খাদ্যাভ্যাস।
- সূর্যের
আলো থেকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন
ডি এর প্রাপ্তি।
- সাপ্লিমেন্টেশন এর প্রয়োজন ও সঠিক ব্যবহার।
প্রভাবিত গোষ্ঠীগুলোর জন্য বিশেষ নির্দেশিকা
- ভিটামিন
ডি এর ঘাটতিতে বেশি
আক্রান্তদের জন্য পরামর্শ (যেমনঃ
গৃহবন্দী, পর্দা করা মহিলারা)।
- রোগীদের জন্য নির্দিষ্ট ডোজিং গাইডলাইন।
ভিটামিন ডি এর সম্ভাব্য
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- অতিরিক্ত
ভিটামিন ডি গ্রহণের কারণে
সম্ভাব্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি।
- ওভারডোজের লক্ষণ ও এর প্রতিকার।
উপসংহার
- নতুন
নির্দেশিকা মেনে চলার প্রয়োজনীয়তা।
- স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভিটামিন ডি এর গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত।
এই ধরনের একটি বিস্তৃত লেখায়
ভিটামিন ডি এর নতুন
নির্দেশিকা, এর প্রয়োজনীয়তা, উৎস,
স্বাস্থ্য উপকারিতা, অভাবের সমস্যা, এবং সঠিক ব্যবহারের
বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা
যাবে।
যদি
এর কোনো নির্দিষ্ট অংশ
বা বিষয় নিয়ে আরও
বিস্তারিত আলোচনা করতে চান, তাহলে
আমাকে জানান।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url