সদকাতুল ফিতর কার উপর ওয়াজিব - সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ ২০২৩
সদকাতুল ফিতর কার উপর ওয়াজিব - সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ ২০২৩
সদকাতুল ফিতর কার উপর ওয়াজিব এটা জানতে হলে আপনাকে জানতে হবে সদকাতুল ফিতর কি? সদকাতুল ফিতর কার উপর ওয়াজিব এটা শরীয়তে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে।সদকাতুল ফিতর কার উপর ওয়াজিব এ সম্পর্কে হযরত ওমর রাঃ বলেছেন ,হযরত মুহাম্মদ সাঃ মুসলমানদেরকে সদকাতুল ফিতর আদায় করা ফরজ করেছেন ।সদকাতুল ফিতর কথাটি আরবি দুটি শব্দ থেকে এসেছে ।
সদকা মানে দান আর ফিতর মানে রোজার সমপরিমাণ টাকা দেওয়া । ঈদুল ফিতরের দিন সবাইকে সদকাতুল ফিতর আদায় করতে হয় ।সাজকাতুল ফিতর ওয়াজিব যদি কারো কাছে সাড়ে সাত ভরি সোনা বা রুপা বা তার সমপরিমাণ মূল্য, নগদ অর্থ কিংবাতার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের অতিরিক্ত সম্পদ থাকে।
তাহলে ঈদুল ফিতরের আগের দিন পর্যন্ত তাকে সদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব । এছাড়াও ঈদুল ফিতরের শেষের দিনে বা রমজানের শেষের দিকে যদি কোন নবজাতক শিশু জন্মগ্রহণ করে অথবা কোন ব্যক্তি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তবে সে ব্যক্তিকেও সদকাতুল ফিতর আদায় করতে হবে।
পেজ সূচিপত্র ঃসদকাতুল ফিতর কার উপর ওয়াজিব - সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ ২০২৩
ফিতরার পরিমাণ
সদকাতুল ফিতর কার উপর ওয়াজিব এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাম বলেছেন প্রত্যেক মুসলমানদের জন্য সাদকাতুল ফিতর ফরজ । আর তা হতে পারে স্বা খেজুর, জব , গম ,ভুট্টা যাইহোক না কেন সেই পরিমাণ দিতে হবে ।গরিবদের হক রয়েছে ।ছোট বড়, নারী-পুরুষ ,সকল মুসলমানদেরকে ফিতরা আদায় করতে হবে ।সদ্য ভূমিষ্ঠ কৃত সন্তান দেরও ফিতরা আদায় করতে হবে । যে সকল খাদ্য আছে সেগুলো ঈদের নামাজের আগেই গরীব দুঃখীদের মাঝে বন্টন করে দিতে হবে।
সদকাতুল ফিতর কাকে বলে
সাদকাতুল ফিতর হল নির্ধারিত সদকা । একে যাকাতুল ফিতরাও বলা । হয়যা ঈদের নামাজ এর পূর্বে গরীব দুঃখীতে মাঝে বিলিয়ে দিতে হয় এবং যাদের কাছে সাড়ে সাত ভরি সোনা ,৫২ ভরি রুপা যদি কারো কাছে থেকে থাকে তাকে অবশ্যই ফিতরা দিতে হবে।সদকাতুল ফিতর কার উপর ওয়াজিব সকল ব্যক্তিদের আদায় করতে হবে ।
কারণ এটা অবশ্যই নিজের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগে এটা আদায় করা আমাদের সকল মুসলমানদের কর্তব্য। নামাজ পড়া যেমন এবাদত ঠিক তেমনি সাদকাতুল ফিতর আদায় করাও এক ধরনের এবাদত তাই প্রত্যেকটা মুসলমান নরনারীদের সাদকাতুল ফিতর আদায় করতে হয় এবং এটা ঈদের পূর্ব দিন পরিশোধ করতে হয়।
আমরা অনেক সময় অসুস্থতার কারণে রোজা রাখতে পারি না এবং এ রোজার বদৌলতে আমরা যদি
ফেতরা আদায় করি তাহলে আমাদের সেই ক্ষতিপূরণগুলো আমরা খুব সহজেই গুছিয়ে নিতে
পারি এতে গরিবদের উপকার হয় এবং ওরা আমাদের মত ঈদের খুশিতে ওরা আনন্দিত হয়।
এবার ফিতরা কত টাকা ২০২৩
সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ এর পরিমাণ কত হবে তা এ বছরে অর্থাৎ ২০২৩ সালে কত
টাকা হবে সেটা ইসলামী ফাউন্ডেশন নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এ বছর ফেতরার
পরিমাণ সর্বনিম্ন পরিমাণ ১১৫ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৬৪০ টাকা
নির্ধারণ করা হয়েছে ।জাতীয় ফাউন্ডেশন এর সভাপতির নেতৃত্বে জাতীয় ফেতরা
কমিটি এবং জাতীয় মসজিদের খতিব উত্তর সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সবার
মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ফিতরা কি দ্বারা আদায় করতে হবে
অনেক কিছু দাঁড়া ফিতরা আদায় করা যায় ।তবে ইমাম আবু হানিফার মতে সদকাতুল ফিতর কার উপর ওয়াজিব যার টাকা দিয়ে ফেতরা দেওয়া উত্তম ।এছাড়াও আমরা ফেতরা হিসেবে খেজুর , চাউল, গম এগুলো দিয়ে আমরা ফেতরা আদায় করতে পারি । এগুলো সমপরিমাণ মূল্যে টাকা দিয়েও আমরা ফিতরা পরিশোধ করতে পারি।
ফিতরার মাসায়েল
সদকাতুল ফিতর কার উপর ওয়াজিব যার নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রয়োজন অতিরিক্ত টাকা, স্বর্ণ অলংকার থাকবে ।সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ হল ফিতরা মাসায়েল আইটেম গুলো হলঃ স্বর্ণ ২২ ক্যারেট হলে ৮৭,২৪৭ টাকা , ভরি হলে ৭৪৮০ টাকা,স্বর্ণ ২১ ক্যারেট হলে ৮৩,২৮১ টাকা ভরি হলে ৭১৪০ টাকা ,স্বর্ণ ১৮ ক্যারেট হলে ৭১,৩৮৪ টাকা ভরি হলে ৬১২০ টাকা, রূপপু ২১ ক্যারেট হলে ১,৪৩৫ টাকা , ভরি হলে ১২৩ টাকা করে দিতে হবে।
ফিতরা কত টাকা ২০২৩ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
এ বছরে অর্থাৎ ২০২৩ সালে সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ কত টাকা হবে সেটা ইসলামী ফাউন্ডেশন নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এ বছর ফেতরার পরিমাণ সর্বনিম্ন পরিমাণ ১১৫ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৬৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে ।জাতীয় ফাউন্ডেশন এর সভাপতির নেতৃত্বে জাতীয় ফেতরা কমিটি এবং জাতীয় মসজিদের খতিব উত্তর সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সবার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ফিতরা কাকে দেওয়া যাবে
অভাবগ্রস্থ ,অসহায় ,গরীব ,দুঃখীদের ফেতরা দেওয়া যাবে এবং প্রকৃতপক্ষে তারাই মূলত ফেতরার হক হক দার।সদকাতুল ফিতর কার উপর ওয়াজিব এটা বলতে গেলে বলতে হয় যারা গরীব দুঃখী তাদের ওপর শব্দাতুল সেতুর ওয়াজিব নয় কিন্তু তারা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ব্যয় করার পরেও অতিরিক্ত অর্থ উপস্থিত থাকবে তাদেরকে আদায় করতে হবে।
ফিতরার মাসায়েল
সদকাতুল ফিতর কার উপর ওয়াজিব ও কখন এটা পরিশোধ করতে হবে।রমজান মাসের মধ্যেই ফিতরা দিতে হয় ।সবচাইতে উত্তম হলো ঈদের নামাজ পড়ার আগেই সবাইকে ফিতরা দিয়ে দিতে হয় ।পুরোপুরি আমরা দিতে পারি এবং বিতরণ করা যায় গরিব অসহায় দুঃখ মহিলাদের মাঝেও আমরা এটা বিতরণ করতে পারি ।
মহিলাদের বিতরণ করলে তাদের পরিবারের জন্য অনেক উপকার হয়ে থাকে।সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ উপরের বিস্তারিত বর্ণনা করা আছে। ফিতরার মাত্রা হলো আপনি প্রতিদিন যা কিছু দিয়ে তারপরে হতে পারে খেজুর খেজুর দ্বারা ইফতার করেন তাহলে খেজুরের আড়াই কেজি সমপরিমাণ খেজুরের অর্থ আপনাকে দিতে হবে আপনি যদি ভাব দ্বারা ইফতার করে তাহলে আড়াই কেজি ওজনে বর্তমান দিতে হবে। আপনি যদি আটা দিয়ে বা রুটি দিয়ে ইফতার করেন। তাহলে আপনাকে আপনি যেদিন ফিতরা পরিশোধ করবে।সেই দিন বাজারের যে দাম থাকবে আটা বা ময়দার সেই পরিমাণ অর্থাৎ আড়াই কেজি পরিমাণ ময়দা বাটার টাকা আপনাকে ফিতরা হিসেবে দিতে হবে।
সদকাতুল ফিতর আল কাউসার
যদি কোন ব্যক্তি বিদেশে থাকে এবং সে তার পিতাকে তার সদকা দান করার জন্য বলে থাকে। তাহলে তাকে যে দেশে অবস্থান করছে সেই দেশের সমপরিমাণ টাকা সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ হিসেবে বাংলাদেশে দিতে হবে । তার ওপরসদকাতুল ফিতর কার উপর ওয়াজিব।
টাকা দিয়ে সদকাতুল ফিতর
টাকা দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করা সবচাইতে উত্তম ।এছাড়াও খেজুর দিয়েও সদকাতুল ফিতর আদায় করা যায়। এ ক্ষেত্রে কিসমিস , খেজুর৩০০ গ্রাম প্রদান করতে হবে। গমের ক্ষেত্রে দেড় কেজি ১৫০ গ্রাম প্রদান করলেও হবে।সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ হিসেবে দিতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url